নিরামিষে ভূরিভোজ [চাররঙা ছবিযুক্ত] by সম্পাদনা : রেহানা পারভীন রুমা

In Stock

Quantity :

Price:   $ 16.8

আমাদের জীবনযাত্রার একটা অন্যতম অংশ জুড়ে আছে রান্নাবান্না আর খাওয়াদাওয়া। সারা বেলা রান্নাঘরে হাঁড়ি-খুন্তি নিয়ে। নাড়াচাড়া করে দশ মিনিটে খেয়ে ওঠার পাট চুকে যায়। অথচ আমাদের আয়োজন দেখলে মনে হয় খাবার জন্য এই বেঁচে থাকা। আদিম মানব পশু শিকার করে যেদিন মাংস আগুনে ঝলসে খাওয়া শিখল সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত মাংসের লোভ আমরা ছাড়তে পারিনি। সময়ের বিবর্তনে মানুষ কৃষিকাজ শিখেছে, ফলমূলের বীজ বপন শিখেছে। খাদ্যাভ্যাসে গ্রহণ করেছে নতুন নতুন উপকরণ। কিন্তু দেশ, জাতি, সমাজ ভেদে খাদ্যতালিকায় বেশ দাপটের সঙ্গেই রয়ে গেছে মাংসের চাহিদা। গরু, খাসি, মুরগি, কবুতর, হরেক রকম মাছই শুধু না সমাজ ভেদে শূকর, সাপ, ব্যাঙ ও অন্যান্য প্রাণীও উপাদেয় খাদ্য হিসেবে পরিবেশিত হচ্ছে। মানুষের খাবার থালায়। শুধু মাংস না, দুধ, ডিম প্রাণিজ ফ্যাট থেকে তৈরি হচ্ছে নানা রকম খাদ্য। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, ততই | শোনা যাচ্ছে নানা রকম অসুখবিসুখের নাম। ডাক্তার বদ্যির ওষুধেও সারছে না সেসব রোগ। বলা হচ্ছে, মানুষ আসলে যা খায়, সে। তাই হয়ে যায়। অনেকটা বাধ্য হয়েই এবার চোখ ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে খাদ্যাভ্যাসের দিকে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং খাদ্য
সম্পর্কে অসচেতনতা থেকেই সৃষ্টি হচ্ছে নানা রকম রোগ এবং শোক। অসুস্থতার কারণে অকালে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রিয় খাবার। নিষেধাজ্ঞা জারির পর প্রিয় খাবারের জন্য বাড়ছে হাপিত্যেশ ।
দীর্ঘদিন ধরে পুষ্টিবিদ চিকিৎসকরা গবেষণা করতে করতেই দেখেছেন মানুষের শরীরের কলকবজাগুলো ঠিকঠাকমতো চালাতে| হলে চাই পরিমিত খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। বেঁচে থাকার জন্য এই যে আমাদের দৈনন্দিন লড়াই তা আসলে অর্থহীন হয়ে যায় যখন আমরা অসুস্থতার কাছে অসহায় হয়ে পড়ি। যখন বুঝতে পারি তখন ধমনিতে চর্বি জমে গেছে, কিডনির ছাঁকনিটা। প্রায় বন্ধ হতে বসেছে, ইউরিক এসিড হাড় সন্ধিতে জমে জমে বাড়াচ্ছে ব্যথা বেদনা। আর এসব ভাবনা থেকেই একদল মানুষ তাই - ঠিক করে ফেললেন, না অনেক খাওয়া হয়েছে আর না। খাওয়ার জন্য বাঁচা নয়, বাঁচার জন্য খাওয়ার প্রয়োজনে মানুষ পরিবর্তন| আনতে শুরু করল তার খাদ্যাভ্যাসে, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের পক্ষে প্রচারণা বাড়ল। বিশ্ব জুড়ে শোনা গেল প্রাণিজ চর্বি ত্যাগের| আহ্বান। যুগ যুগ ধরে প্রাচ্যের অনেক স্থানে নিরামিষ ভোজনের যে ঐতিহ্য বজায় ছিল তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করল পাশ্চাত্য। ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে আরম্ভ করল নিরামিষাশী বা ভেজিটেরিয়ানিজমের পক্ষে নানা মতবাদ, যুক্তি।
নিরামিষাশী হবার পক্ষে প্রথম যুক্তিটা গড়ে উঠেছিল নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিককে কেন্দ্র করে। খাদ্যের জন্য নিরীহ প্রাণী হত্যার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেক প্রাচীন লেখক ও দার্শনিক। খ্রিস্টপূর্ব ৬ শতকের গ্রিক দার্শনিক পিথাগোরাস মনে করতেন প্রাণীর| মাংস মানুষের আত্মাকে নৃশংস, দয়াহীন করে তোলে। উনিশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিরামিষভোজীদের পিথাগোরিয়ানস হিসেবে আখ্যায়িত করা হত। অন্যদিকে আধ্যাত্মিকতার আলোকে ব্রাহ্ম, বৌদ্ধ, হিন্দু ধর্মে নানাভাবে নিরামিষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

Name : নিরামিষে ভূরিভোজ

Author : রেহানা পারভীন রুমা

Material : Paper

Size : 7.2 X 9


No review available yet.

'